সারাদিনের রোজা শেষে ইফতার করেন মুসলমানেরা। এই মুহূর্তটি বরকতময়। আল্লাহ তায়ালা রহমত নাজিল করেন রোজাদারের জন্য। ইফতারের ফজিলত নিয়ে বিভিন্ন হাদিস বর্ণিত হয়েছে। হাদিসের আলোক ইফতারের আগের মুহূর্তের ফজিলত ও গুরুত্ব তুলে ধরা হলো—
দোয়া কবুলের সময়
পবিত্র রমজান মাসে ইফতারের সময়টি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। অদৃশ্য শক্তির আদেশ পালনার্থে ভীষণ ক্ষুধা-তৃষ্ণা থাকা সত্ত্বেও বনি আদম প্রহর গুনতে থাকে সূর্যাস্তের। এ সময় মহান আল্লাহ আদম জাতির ওপর সন্তুষ্ট হয়ে তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেন।
রাসূল সা. বলেছেন, ‘ইফতার করার সময় রোজাদারের দোয়া কবুল হয়ে থাকে। ’ (আবু দাউদ শরীফ)। আর এ জন্যই হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রহ.) ইফতারের সময় পরিবারের সবাইকে সমবেত করে দোয়া করতেন।
ইফতার করানোর ফজিলত
রাসূলে পাক সা. এরশাদ করেন, ‘রমজান মাসে যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার গুনাহগুলো মাফ হয়ে যাবে। সে দোজখ থেকে মুক্তি পাবে আরসে রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে, কিন্তু এতে রোজাদারের সওয়াব থেকে কিছুই ঘাটতি হবে না অর্থাৎ রোজাদারের সওয়াব কমবে না। ’
তাড়াতাড়ি ইফতার করা
আল্লাহর রাসুল বলেন, ‘লোকেরা ততক্ষণ কল্যাণে থাকবে যতক্ষণ তারা ইফতার জলদি করবে। ’ (বুখারী, মুসলিম ১ খণ্ড-৩২১ পৃঃ মিশকাত ১৭৫ পৃঃ)
খেজুর দিয়ে ইফতার
হাদিসে আছে, হজরত সালমান ইবনে আমের রা. থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সা. এরশাদ করেছেন, ‘যখন তোমাদের মধ্যে কেউ রোজায় ইফতার করে, সে যেন খেজুর কিংবা খোরমা দিয়ে ইফতার করে। কারণ, তা হচ্ছে বরকত। আর তা না হলে পানি দিয়ে করবে, তা পবিত্রকারী। ’ (জামে তিরমিজি, ২য় খণ্ড, হাদিস- ৬৯৫)।
খুশির মুহূর্ত
রমজানের ইফতার রোজাদারদের জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বড় নেয়ামত। হাদিসে আছে, হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রসূল সা. বলেছেন, ‘রোজাদারের জন্য দুটি বড় খুশি রয়েছে। একটি প্রভুর সাক্ষাত আরেকটি ইফতারের সময়। ’ (সহিহ বুখারি)
খুলনা গেজেট/এএজে